খাজনা পরিশোধ করার নিয়ম ২০২৩ । ভূমি উন্নয়ন করের রেট জানতে চান?

খাজনা পরিশোধ করার নিয়ম ২০২৩ । ভূমি উন্নয়ন করের রেট জানতে চান?

ভূমি উন্নয়ন করের পূর্বে রেট প্রযোজ্য নয়, ২০১৫ সালে জারিকৃত নতুন রেট কার্যকর রয়েছে – খাজনা পরিশোধ করার নিয়ম ২০২৩

ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে দেয়া যায় কি?ldtax.gov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে এনআইডি মোবাইল নম্বর, এনআইডি, নাম ঠিকানা তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে আপনি পর্চার কপি আপলোড করলেই হোল্ডিং নম্বর এন্ট্রি দিয়ে দিবে ভূমি অফিস। অতপর আপনি হোল্ডিং নম্বর ব্যবহার করে অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করেই ভূমি কর পরিশোধ করতে পারবেন। সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমি সেবা গ্রহিতাদেরকে স্বল্প ব্যয়ে, স্বল্প সময় ও সহজ সেবা প্রদানের জন্য সমগ্র বাংলাদেশে ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটাল সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনা তৈরী করা হয়েছে। উক্ত সফটওয়্যারে মালিকানাধীন জমির হোল্ডিং রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম চলছে।

হেল্প লাইনে ফোন করে নাকি হোল্ডিং নম্বর পাওয়া যায়? হ্যাঁ। আপনি নিজে জমির মালিকনা সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে  রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। অনলাইন পোর্টাল www.land.gov.bd অথবা www.ldtax.gov.bd এ ঢুকে NID ও মোবাইল ফোন নম্বর এবং জন্ম তারিখ এন্ট্রি করার মাধ্যমে হোল্ডিং নম্বর পেয়ে অনলাইনেই বিকাশের মাধ্যমে ভূমি কর দিতে পারবেন অথবা কল সেন্টার নম্বর ১৬১২২ অথবা ৩৩৩ এ ফোন করে NID নম্বর, জন্ম তারিখ এবং জমির তথ্য প্রদান করার মাধ্যমেও হোল্ডিং নম্বর পাবেন অথবা NID ব্যবহার করে যেকোন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (UDC) এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও কর দিতে পারবেন।

ভূমি উন্নয়ন কর বকেয়া হলে কি করবেন? অনেকেরইভূমি উন্নয়ন কর বকেয়া পড়ে থাকে। এক্ষেত্রে একটি ভুল ধারণা রয়েছে- তিনবছরের বেশি বকেয়া বাকী থাকলে তা আদায় করা যায়না। আসলে তা ঠিক নয়। বিধিমালা এবিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে। তবে তিন বছরের মধ্যেই আদায়ের জন্য রেন্টসার্টিফিকেট মামলা দায়ের করতে হয়। এই মামলার মাধ্যমেই জমি নিলামে বিক্রিকরা হয়। কোন ক্রেতা পাওয়া না গেলে সরকার এক টাকা দিয়ে এ জমি কিনে খাসজমিতেপরিণত করে তা ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্ত দিতে পারে। এ কারণে প্রতি বছরইভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা উচিত। তবে বকেয়া পড়ে গেলে যেই বছর হতে কর বকেয়ারয়েছে তা ওই বছরের হার অনুযায়ী আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে ৬.২৫ ভাগ সুদজ্যামিতিক হারে যোগ করতে হবে।

ভূমি উন্নয়ন করের রেট 2023 । জমির বা ভূমি ধরণ অনুসারে খাজনা বা ভূমিকর নির্ধারিত হয়ে থাকে

২৫বিঘা বা ৮.২৫ একরের কম জমির মালিকেরা ২ টাকার একটি মওকুফ দাখিলা পাবেন।একাধিক বছরের জন্য একটি মওকুফ দাখিলাই যথেষ্ঠ। মনে রাখতে হবে- একে ভূমিউন্নয়ন কর হিসাবে বিবেচনা করা হয়না। বিবিধ আদায় হিসাবে গণ্য হয়। এজন্যপ্রতিবছর ২ টাকার মওকুফ দাখিলা সংগ্রহের প্রয়োজন নেই।

ভূমি উন্নয়ন করের রেট ২০২৩

ভূমি উন্নয়ন করের রেট ২০২৩

Pay your land tax by online process 2023 । বর্তমানে অনলাইন ছাড়া ম্যানুয়ালি কোন ভূমি কর পরিশোধ করা যাবে না

  1. হোল্ডিং রেজিষ্ট্রেশনের কাজ চলমান রয়েছে আপনিও অনলাইনে আবেদন করে হোল্ডিং ফেলতে পারবেন।
  2. গত ১ জুলাই, ২০২১ খ্রিঃ তারিখ হতে জমির খাজনা অনলাইনে গ্রহণ করা হচ্ছে। ভূমি অফিস গিয়ে অথবা অনলাইনে হোল্ডিং ফেলার জন্য আবেদন করা যায়।
  3. সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন না করলে পরবর্তীতে আপনার জমির খাজনা আদায় করে জমির মালিকানা প্রমাণ করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হবে।
  4. কাগজপত্র দিয়ে নিজে অথবা সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে জমির মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য কোন ‘ফি’ ছাড়াই দ্রুত রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। লিংক: https://ldtax.gov.bd

ভূমি কর রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি কাগজ লাগে?

ভূমি কর ওয়েবসাইটে সফটওয়্যারে মালিকানাধীন জমির হোল্ডিং রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়ার জন্য আপনাকে ৫টি জিনিস বা তথ্য দিতে হবে। প্রথমেই হল  রেকর্ড/খারিজ খতিয়ানের কপি অর্থাৎ ফটোকপি দিতে হবে। পূর্বে বা পূর্ববর্তী দাখিলার কপি বা রশিদ দিতে হবে। পাসপোর্ট সাইজের ছবি ০১ কপি প্রোফাইলের জন্য লাগবে যা স্ক্যান করে আপলোড করা হবে। নিজ জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে যা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হবে এবং তথ্য যাচাই সম্পন্ন হবে। সচল মোবাইল নম্বর লাগবে নিজের অথবা বাড়ির যে কারওটি হলেও হবে। মোবাইল নম্বরে ওটিপি যাবে এবং এটি দিয়েই লগিন করতে হবে।

ভূমি কর আদায় সহজীকরণ ২০২৩ । ব্যক্তিক অনলাইন নিবন্ধন রিকুয়েস্ট অননুমোদিত রাখা যাবে নাজমির খাজনা ও পরিশোধের নিয়ম ২০২৩ । ভূমিকর বাবদ এখন নগদ টাকা প্রদান করা যাবে না
ভূমি খারিজ সময়সীমা ২০২৩ । জমির মিউটেশন করতে কতদিন সময় লাগে?ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ । অন্যের জমি নিজের বলে দাবী করলেই ৭ বছরের জেল?
 

ভূমিকর নিয়ে সমস্যা প্রতিকারের জন্য কোথায় যেতে হবে?

বর্তমানে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বা তহশিলদার ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করে থাকেন। আগেই বলা হয়েছে-এরা কোন অসৎঅর্জনের জন্য বেশি কর ধার্য করলে অথবাএতদসংক্রান্ত কোনো ব্যাপারে সমস্যা সৃষ্টি হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এরসঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। দাবী সম্পর্কে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)অথবা জেলা প্রশাসক এর কাছে ১৫ দিনের মধ্যে আপত্তি দাখিল করতে হবে। জেলাপ্রশাসকের আদেশে কোনো ব্যক্তি সন্তুষ্ট না হলে সেই আদেশের বিরুদ্ধে ৪৫দিনের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপিল করা যাবে। বিভাগীয় কমিশনারেরআদেশে কোন ব্যক্তি সন্তুষ্ট না হলে সেই আদেশের বিরূদ্ধেও ১৫ দিনের মধ্যেভুমি আপিল বোর্ডের নিকট আপিল করা যাবে।

https://technicalalamin.com/%e0%a6%ad%e0%a7%82%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%89%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a8%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%a8-%e0%a6%95%e0%a6%b0-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a7%e0%a7%ab-%e0%a5%a4/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *